blog-image

৯ অক্টোবর ২০২৪

১ লক্ষ ২৫ হাজার

৮৭৫ শেয়ার

মার্কেটিং এর ইনভেস্টমেন্ট করার শুরুতে ১ম ইনভেস্টমেন্টটাই করা উচিক কম্পিটিটরকে রিসার্চ করার উপর।

কম্পিটিটরকে রিসার্চ করতে কি কি প্যারামিটারগুলো আমি খুব গুরুত্ব দিয়ে রিসার্চ করে থাকি:

১) কম্পিটিটরদের কনটেন্ট প্রেজেন্টেশন কেমন?:

কম্পিটিটরদের কনটেন্টে ক্ষেত প্রেজেন্টশন। আর বড় কিছু প্লান করার দরকার নাই। মাথা নষ্ট প্রেজেন্টশ দিয়েই্ ওই পেইজের অডিয়েনদের আমরা প্রতি আগ্রহী তৈরি করে ফেলতে পারবো। ওই যে ক্লাশে একটা সুন্দরির পিছনে সবাই ছুটে। নতুন আরেকটা সুন্দরি ক্লাশে জয়েন করলে আগের সুন্দরির পাত্তা শেষ হয়ে যায়, সব নতুনটার পিছনে, মনে আছে। সূত্রটা এখানেও কাজে লাগিয়ে ফেলুন।

২) কনটেন্ট গ্যাপ পয়েন্ট বিশ্লেষন:

এটা একটু বেশি করি। ধরেন, কম্পিটিটরদের সব কনটেন্ট হচ্ছে, পরিমান মত হলুদ, মরিচ দিতে হবে। আমার কনটেন্টে সেই পরিমানটা উল্লেখ করেই মানুষের মন জয় করা সহজ হয়ে যায়। যেমন, এ পোস্টটাই ধরেন। সবাই লিখছে, মার্কেটে টিকে থাকতে রিসার্চ করতে হবে। আর আমি সেখানে শুধু রিসার্চ করতেই বলছিনা, রিসার্চটা কি কি বিষয় নিয়ে করতে হবে, সেটাও উল্লেখ করে কনটেন্ট উপহার দিলাম। কনটেন্টটা ভালো লেগেছেতো নাকি?

৩) কম্পিটিটররা অ্যাভাটারের কোন কোন পেইনপয়েন্ট নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছে?

পেইনপয়েন্টের জায়গাটাতে যত বেশি গেইম খেলতে পারবেন, ততই আপনার কম্পিটিটরকে বিড করতে সক্ষম হবেন। ধরেন, সকল মশলার কম্পিটিটর উদ্যোক্তারা , ধুলাবালিমুক্ত মশলা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করছে, আপনিও একই পেইনপয়েন্ট নিয়েই মার্কেটিং করতেছেন, তাহলে আপনি কম্পিটিটর নিয়ে রিসার্চ করাটাই শিখেন নি, আপনি কম্পিটিটরকে কপি করা শিখলেন। আপনি রাধুনীদের অন্য পেইনপয়েন্টগুলো রিসার্চ করে বের করে সেটা নিয়ে মার্কেটিং করেন।

৪) অডিয়েন্সদের কানেক্টেড হওয়ার অ্যাক্টিভিটিস কেমন এবং কতটা স্ট্রং কানেকশন?

কম্পিটিটর যদি অডিয়েন্সদের সাথে সম্পর্কটা শুধুমাত্র সেলার বায়ার সম্পর্কটা তৈরি করে থাকে। তাহলে তার বিগেস্ট দুর্বল পয়েন্ট পেয়ে গেছেন ধরে নিন। তাহলে আপনি সেই অডিয়েন্সগুলোর সাথে আত্নার সম্পর্ক তৈরি করার ব্যাপারে ৬ মাসের জোশ স্ট্রেটেজি প্লান করে অ্যাকশনে নামেন আর সেই অডিয়েন্সদেরকে হাইজেক করে নিজের প্রেমে কিংবা নিজের ব্রান্ডের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। এটা কিভাবে স্ট্রাটেজি সাজাবেন, সেটার বিস্তারিত এখানে লিখছিনা আর।

৫) ফেসবুকের বাহিরেও তাদের কোন কোন প্লাটফর্মে প্রেজেন্টস আছে এবং সেই উপস্থিতি কতটা স্ট্রং।

কম্পিটিটরদের মার্কেটিং যদি শুধুমাত্র ফেষবুক কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তাহলে ধরে নিন, সে খুব দ্রুত আপনার কাছে হার মানতে বাধ্য হবে। আর তার জন্য আপনার উপস্থিতি ফেসবুক পেইজ, ফেসবুক গ্রুপ ফেসবুকে রিলস, ইউটিউব, ব্লগ, টিকটক সবগুলো জায়গাতে প্লান করে এগোতে হবে। এই প্লানটা সঠিকভাবে করতে পারলে, দেখেন না, খেলাটা কি হয়।3

৬), কাস্টমার বেইস কি রকম? কাস্টমার বেইস তৈরির কার্যক্রমগুলো কি কি?

কাস্টমার বানানোর জন্য তাদের ফানেলিংটা নিয়ে সময় নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে অ্যানালাইস করেন। এই ফানেলিং এর প্রতিটা স্তরের জন্য কি কি কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেটাও অ্যানালাইস করেন। ফানেলের কোন স্তরে দুর্বল পয়েন্ট রয়েছে, কোন স্তরে লোক খালি হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে রিসার্চ করেন। এবারই না, আপনি অ্যাকশন প্লানে যেতে পারবেন।

৭) তাদের অডিয়েন্স বেইস তৈরির কার্যক্রমটা কি কি? অডিয়েন্স বেইস তৈরির কার্যক্রমগুলো কি কি?

আগে চেক করে দেখেন, তাদের পুরো কার্যক্রমটাই শুধু সেলস অডিয়েন্স বা কাস্টমার বেইস তৈরির জন্য কিনা। তাহলেতো বড় দুর্বল পয়েন্ট পেয়ে গেলেন। বিশাল অডিয়েন্স তৈরির যত উদ্যোগ নেওয়া যায়, সেটা করুন। এই অডিয়েন্সকে কাস্টমারের কনভার্ট করার প্লানটাও রেডি করতে হবে। অর্থাৎ ফানেলিংটা হবে এরকম, আপনার ব্রান্ডের পেইজের এবং গ্রুপের আগে ডাই-হার্ড ফ্যান অডিয়েন্স তৈরি হবে, সেই অডিয়েন্সকে নারচারিং করার কার্যক্রম প্লান থাকবে, পরে এদের মধ্য থেকেই অনেক সংখ্যক অর্গানিকভাবে কাস্টমারে কনভার্ট হয়ে যাবে।

আপাতত এটুকু প্যারামিটার দিয়েই কম্পিটিটরদেরকে রিসার্চ করার চেষ্টা করেন। সেলস প্রতিযোগীতাতে এগিয়ে থাকতে পারবেন।


ব্লগ টি ভালো লাগলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন বন্ধুদের মাঝে

সর্বনিম্ন মার্কেটিং খরচে সর্বোচ্চ সেল জেনারেট

কোডিং দক্ষতা ছাড়াই পরিচালনা করুন নিজের ওয়েবসাইট, অটোমেশন টুলস ও শক্তিশালী ফানেল এর মাধ্যমে উপভোগ করুন সর্বোচ্চ কনভার্সন

যোগাযোগ করুন